Friday, July 31, 2020

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মহিলা কোটা ও ৬ মাসের ডিপ্লোমা সনদধারী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির শিক্ষকদের সমস্যা নিরসন পরিপত্র

edutechinfobd.blogspot.com

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মহিলা কোটা এবং ছয় মাসের ডিপ্লোমা সনদধারী তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর পরিপত্র জারি করে। বিষয়টি নিয়ে নানামুখী সমস্যায় ভুগছিলেন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষকবৃন্দ। অবশেষে ঝামেলা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে দুটি চমৎকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যেটি কে সাধুবাদ জানিয়েছেন শিক্ষকবৃন্দ। মহিলা কোটা  সমস্যা নিরসনের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে,  বেসরকারি শিক্ষা  প্রতিষ্ঠান ত্রুটিপূর্ণ চাহিদার ভিত্তিতে নিবন্ধনধারী যে সমস্ত শিক্ষক এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশ প্রাপ্ত হয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো-২০১৮ এর শূন্য পদে যোগদান করে সংশ্লিষ্ট এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন তারা স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান বহাল থাকবেন। বিধি মোতাবেক তারা এমপিওভুক্ত হবেন। মহিলা কোটার জটিলতা থেকে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান শুধুমাত্র ০১.১১.২০১৯ তারিখ পর্যন্ত এনটিআরসি এর মাধ্যমে প্রাপ্ত ও বিধি মোতাবেক যোগ্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি এখানে উল্লেখ করা হয়েছে সেটি হল, “ এ সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে কোন রেফারেন্স দৃষ্টান্ত উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।”  এতে আরও বলা হয়, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান ভবিষ্যতে মহিলা কোটা নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত শুধুমাত্র মহিলা প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য বলে আবশ্যিকভাবে উল্লেখ করে উপজেলা/ থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার/ জেলা শিক্ষা অফিসার, উপ-পরিচালক মাধ্যমিক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে এনটিআরসিএ-তে শিক্ষকদের চাহিদা প্রেরণ করবেন। নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যোগদানকৃত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে না।
পরিপত্রে আরও বলা হয়,  বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ এর ১১.৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তারা পূর্বের কোন বকেয়া  সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন না। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের একাডেমিক সনদ নিবন্ধন সার্টিফিকেট শিক্ষাগত যোগ্যতা ও এনটিআরসি এর সুপারিশ যথাযথ থাকলে এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ এর শূন্য পদে কর্মরত থাকলে তাদের এমপিওভুক্তি অনলাইনে আবেদনের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
 এখানে একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয় যে, এই দুটি সমস্যার কারণে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন সমস্যায় এবং এমপিওভুক্তি না হওয়া অর্থনৈতিক কষ্টে ভুগছিলেন। সাধারণ শিক্ষকবৃন্দের  দাবি এমন কোন সিদ্ধান্ত যেন গৃহীত না হয়, যা সাধারণ শিক্ষকদের জীবন মান এবং পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার পরিচালনায় অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। অর্থাৎ তাদেরকে যেন কোন ভাবেই বঞ্চিত করা না হয়। বলা হয়ে থাকে শিক্ষকরা জাতির মেরুদন্ড। কিন্তু আমরা দেখতে পাই বিভিন্ন পরিপত্রের বেঁড়াজালে শিক্ষকদেরকে আটকে রাখা হয়েছে এবং বঞ্চিত করা হচ্ছে তাদের প্রাপ্য এবং বৈধ হক থেকে। ভুলে গেলে চলবে না শিক্ষকরা বঞ্চিত হলে জাতিকেই সেই বোঝা বহন করতে হবে। পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্রগুলির দিকে আমরা যদি তাকাই তবে দেখতে পাই, তাদের উন্নতির মূলমন্ত্র হচ্ছে সেসব দেশের শিক্ষক সমাজের জীবনমানের উন্নত ব্যবস্থা। যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি বিনীত আহ্বান থাকবে শিক্ষা সংক্রান্ত যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে তারা যেন এটির সর্বোচ্চ কল্যাণকর দিকটি সর্বাগ্রে বিবেচনা করেন। নয়ত, শুধুমাত্র শিক্ষক সমাজই বঞ্চিত হবে, বঞ্চিত হবে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মও। ব্যাহত হবে সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রম।


0 comments:

__আপনার মতামত নিচে লিখুন। ধন্যবাদ।__